SCO summit 2022: সন্ত্রাসবাদ থেকে জলবায়ু, আজ এসসিও বৈঠকে আলোচ্য সূচি কোন কোন বিষয়?

দিনভর ঠাসা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী মোদির...
WhatsApp_Image_2022-09-16_at_843.39_AM
WhatsApp_Image_2022-09-16_at_843.39_AM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে (SCO summit 2022) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Uzbekistan)। ইউক্রেন সংকটের মুহূর্তে এই সম্মেলনকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণবলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চিন এবং রাশিয়া এসসিও-র (Bilateral Talk with Russia and China) অন্যান্য সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের পক্ষে আনতে এই মঞ্চকে কাজে লাগাতে পারে। 

আরও পড়ুন: শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

 


 
১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেই এই সময়ে সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানে পৌঁছেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। এই সম্মেলনের মাঝে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকও হতে পারে নরেন্দ্র মোদির। বৈঠক হতে পারে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও। গত তিনবছরে এই প্রথমবার মোদি-জিনপিং মুখোমুখি সাক্ষাতের একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।  

https://www.pib.gov.in/PressReleseDetailm.aspx?PRID=1859532

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এরপরের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লিতে। যার কারণে এবারের সামিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভারতের কাছে। চিন, রাশিয়ার পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং ইরানের ইব্রাহিম রাইসিকেও। গত ছ মাস ধরে সমরকন্দে প্রস্তুতি চলছে এই সামিটের। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সাংহাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন। বর্তমানে আটটি সদস্য দেশ, চিন, ভারত, কাজাখাস্তান, কির্গিজস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান রয়েছে এসসিও-র।

আরও পড়ুন: প্রথমে রাখা হবে কোয়ারান্টাইনে! আফ্রিকা থেকে বিশেষ বিমানে আসছে আটটি চিতা

সম্প্রতি লাদাখে হট স্প্রিংয়ে পয়েন্ট-১৫ থেকে নিজেদের সৈন্য প্রতাহার করেছে ভারত এবং চিন। ২০২০ সালের থেকে লাদাখে ভারত-চিন টানাপোড়েন জারি রয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে এই টানাপোড়েন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। এরপর থেকে ক্রমেই অবনতি ঘটেছে ভারত-চিন সম্পর্কের। তাই সমরকন্দে মোদির সঙ্গে জিনপিংয়ের বৈঠক ঘিরে তৈরি হচ্ছে জল্পনা। যদিও দুই দেশের তরফে এই বিষয়ে কোনও কিছু বলা হয়নি। তবে মুখোমুখি বৈঠক না হলেও সম্মেলন চলা কালীন অন্তত দুটি সেশনের জন্য মোদি এবং জিনপিং একই ঘরে উপস্থিত থাকবেন। 

দিনভর ঠাসা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী মোদির। বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী মোদি কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। কাদের সঙ্গে হবে এই বৈঠক সে বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিওয়েভ, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন মোদি। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে উঠে আসতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।   

আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই উত্তাল সময়ে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু থেকে সন্ত্রাসবাদ এই সম্মেলনের আলোচনা ছুঁয়ে যাবে সমস্ত আন্তর্জাতিক সমস্যাকে। উঠে আসতে পারে সমাধান  সূত্রও।  এছাড়াও আলোচনার বিষয় হবে, জলবায়ু, অর্থনীতি, উন্নয়ন, বিনিয়োগ। তাই এই সম্মেলন নিয়ে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles