Baguiati Students Murder: ধরা পড়ল বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী, জানেন কীভাবে?

জোড়া খুন কাণ্ডে নিহত দশম শ্রেণির দুই ছাত্রের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
moloy-coal_(1)
moloy-coal_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে বাগুইহাটি জোড়া খুনের (Baguiati double murder case) মুল চক্রী সত্যেন্দ্র চৌধুরী (Satyandra Chaudhuri)। শুক্রবার সকালে হাওড়া স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ট্রেনে করে অন্য রাজ্যে পালিয়ে যাওয়াই ছিল সত্যেন্দ্রর লক্ষ্য। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিধাননগর পুলিশের একটি বিশেষ দল হাওড়া স্টেশনে সাদা পোশাকে জাল পাতে। কেউ ফুড প্লাজার সামনে তো কেউ নিউ কমপ্লেক্সের ফুটপাথে বসে। চায়ের দোকান, ফলের দোকান, কাগজের স্টল ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল সিআইডির অফিসারেরা। হাওড়া স্টেশনে পৌঁছতেই সতেন্দ্রকে গ্রেফতার করেন তাঁরা। অভিযুক্ততে জেরার জন্য বিধাননগর কমিশনারেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘সিআইডি রাজ্যের ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশন...’, বাগুইআটিকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি শুভেন্দুর

বাগুইহাটির দুই ছাত্র অতনু দে ও অভিষেক নস্করের হত্যা ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে বঙ্গ রাজনীতি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় স্থানীয়দের। তা দেখে বেজায় চটেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় বাগুইহাটি থানার ওসি’কে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার। তারপর তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি’র হাতে। নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন। 

সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত সতেন্দ্রকে ধরতে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি তদন্তকারীদের। কারণ, অভিযুক্ত বার বার মোবাইলের সিম কার্ড পরিবর্তন করছিল। ফলে তার নাগাল পেতে সমস্যায় পড়ে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা খবর পান, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে অন্য রাজে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে সত্যেন্দ্র। সেই মতো গোয়েন্দারা সাদা পোশাকে হাওড়া স্টেশনে নজরদারি শুরু করে। অভিযুক্ত স্টেশনে পা রাখতেই তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। স্টেশনেই ট্রেনের টিকিট কাটছিল সত্যেন্দ্র। হয়তো আগামী কয়েকদিন গা-ঢাকা দিতে হবে অনুমান করেই টিকিট কাটার আগে অনলাইনে টাকার একটি লেনদেন করে সত্যেন্দ্র। ওই অনলাইন লেনদেনের সূত্র ধরেই সত্যেন্দ্রর খোঁজ পেয়ে যায় বিধাননগর পুলিশ।

আরও পড়ুন: বাগুইআটিতে জোড়া খুন, নিহত দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

উল্লেখ্য, বাগুইহাটির হিন্দু বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণিতে পড়ত অতনু ও অভিষেক। গত ২২ অগাস্ট দুই ছাত্র নিখোঁজ হয়। দু’দিন তাদের কোনও খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবারের লোকজন। দায়ের হয় অভিযোগ। অতনুর বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। কারণ, বেশ কয়েকটা উড়ো ফোন পেয়েছেন তিনি। এক কোটি টাকা মুক্তপণও দাবি করা হয়। এর মধ্যেই দুই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অবশেষে জোড়া খুনের ঘটনায় ১৮ দিন পর মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল পুলিশের হাতে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles