মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল চিনা 'গুপ্তচর' জাহাজ (Chinese Spy Ship) ইউয়ান ওয়াং-৫। বৃহস্পতিবার ওই বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল ওই গুপ্তচর জাহাজের। যদিও ওই বন্দরের মাস্টারের (Harbour Master) দাবি, তাঁর অনুমতি ছাড়া কোনও জাহাজ নোঙর করতে পারবে না ওই বন্দরে।
দিন কয়েক আগে চিনের ওই জাহাজটি যাত্রা করে শ্রীলঙ্কা অভিমুখে। তখনই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত (India)। জাহাজটি যাতে ওই বন্দরে না ভেড়ে, সেজন্য আবেদন জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কাও। সেসব আবেদন-আপত্তি গ্রাহ্য না করেই শ্রীলঙ্কা অভিমুখে যাত্রা করতে শুরু করে ইউয়ান ওয়াং-৫ নামের ওই জাহাজটি। ১৪ নটিক্যাল গতিতে সেটি ধেয়ে আসতে থাকে হাম্বানটোটা বন্দর অভিমুখে। এই গুপ্তচর জাহাজটি চিনের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন :পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?
যেহেতু জাহাজটি শি জিন পিংয়ের দেশের মহাকাশ ও উপগ্রহ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়, তাই আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। নয়াদিল্লির ধারণা, অত্যাধুনিক এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালাতে পারে চিন। ভারতের এই আপত্তির পরে পরেই শ্রীলঙ্কার তরফেও চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বন্দরে যেন ওই জাহাজ নোঙর না করে।
জানা গিয়েছে, ২৩ হাজার টনের জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে পশ্চিম দিকে যাত্রা করেছে। ১১ অগাস্ট সকালে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ন’ টা নাগাদ জাহাজটির শ্রীলঙ্কা উপকূলের হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর করার কথা ছিল। ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত সেখানেই থাকার কথাও ছিল জাহাজটির। শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কলম্বোর চিনা দূতাবাসকে জানিয়ে দেওয়া হয় জাহাজের নোঙর করাটা যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে দ্বীপরাষ্ট্রর তরফে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার প্রয়োজন আছে। এদিন হাম্বানটোটার বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁর অনুমতি ছাড়া ওই বন্দরে কোনও জাহাজ নোঙর করতে পারবে না।
আরও পড়ুন : ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা অভিমুখে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ
+ There are no comments
Add yours