মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরকে অশান্ত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে জম্মুর তোফ গ্রামে অস্ত্র ফেলল পাকিস্তানের ড্রোন। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, তোফ থেকে মিলেছে একটি গোলাবারুদ ও অস্ত্র বোঝাই প্যাকেট। উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ানোর ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টালিজেন্স বা আইএসআই (Inter-Services Intelligence)।
জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি তল্লাশি অভিযান চালায় ন্যাশনাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি (NIA)। কাঠুয়া, সাম্বা, দোদাতে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করেছে তারা। গত মাসে ফইজল মুনির নামে একজনকে আটক করে এনআইএ। পাকিস্তানি ড্রোন থেকে অস্ত্র সংগ্রহের ঘটনায় জড়িত মুনিরকে জেরা করে বেশ কয়েকটি গোপন ঘাঁটির কথা জানতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযানে উদ্ধার হয় সীমান্তের ওপার থেকে আসা প্রচুর অস্ত্র। উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের খোঁজ চলছে।
আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! সেনার উপর গ্রেনেড হামলা
নয়াদিল্লির রিপোর্ট বলছে কাশ্মীরে অশান্তি বাড়াতে সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তানের সেনা বাহিনীও। নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে জঙ্গিদের ভারতে ঢোকাতে চেষ্টা চালাচ্ছে তাঁরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা বাড়াতে বেশ কয়েক দফা পরিকল্পনা করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সূত্রের খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তিনটি এলাকায় ISI-এর মদতে চলছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মূলত লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba), জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammad )-এর পাশাপাশি ISI-এর মদতে চলা আল বদর (Al-Badar) জঙ্গিগোষ্ঠীর নজরদারিতে চলছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানসেরা (Manshera), মুজফ্ফরাবাদ (Muzzafarabad) এবং কোটলিতে (Kotli) জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বারবার একাধিক জঙ্গি লঞ্চপ্যাডও সক্রিয় হয়েছে বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ড্রোনে পাকিস্তান থেকে এই জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র পাঠাচ্ছে আইএসআই। গত কয়েক দিনে পরপর জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে কাশ্মীর। সাধারণ মানুষ, কাশ্মীরি পণ্ডিত থেকে শুরু করে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষী, সেনা সকলকেই নিশানা করছে জঙ্গিরা।
+ There are no comments
Add yours