মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘন ঘন বাজছে সাইরেন। পথঘাট ফাঁকা। তার মধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন কেউ কেউ। এ ছবি দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের (Taiwan)। চিন (China) হামলা চালাতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই যুদ্ধের মহড়া (Military Drills) শুরু হয়ে গিয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রে। সেনাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ।
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবেই দাবি করে এসেছে চিন। দেশের রশি শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকে তাইওয়ানের দখল পেতে মরিয়া ড্রাগনের দেশ। এমতাবস্থায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পোলেসির (Nancy Pelosi)তাইওয়ান সফর ঘিরে। সোমবার থেকে মার্কিন কংগ্রেসের একটি দল মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান সহ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সফর করবে। পেলোসির দফতরের জারি করা বিবৃতিতে তাইওয়ানের নাম নেই। তবে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই তাইপেই পৌঁছবেন পেলোসি। তিনি তাইওয়ান পৌঁছলে চিন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছিল বেজিং। এদিকে, এদিনই পেলোসি মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের
এহেন উত্তেজনার আবহেই মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চিন সাগরে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ান নৌবাহিনী। সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসন রুখতে উপকূল বরাবর অবস্থান নিচ্ছে তাইওয়ানের সেনা। চিনা ফৌজকে আকাশপথে ঠেকানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে জোরকদমে। তাইওয়ানের সক্ষম নাগরিকদের একাংশকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর। তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই আমেরিকার। তবে দুই দেশই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। আত্মরক্ষার জন্য তাইপেইকে অস্ত্রও সরবরাহ করে থাকে আমেরিকা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি বা স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করে এমন কোনও প্রচেষ্টা মেনে নেবে না আমেরিকা।
আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং
+ There are no comments
Add yours