মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়মিত রুটে কোনও বেসরকারি সংস্থা ট্রেন চালাবে না। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বেসরকারিকরণের চিন্তা করছে না সরকার। সংসদের বাদল অধিবেশনে পরিষ্কার জানালেন রেলমন্ত্রী। রাজ্যসভায় শুক্রবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লিখিত বিবৃতিতে জানান, রেলের বেসরকারিকরণের কোনও ভাবনাই নেই সরকারের।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ পর্যটনকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য গত মাসেই ভারতের প্রথম বেসরকারি ট্রেন তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুর থেকে ছাড়ে। ভারত গৌরব প্রকল্পের (Bharat Gaurav scheme) অধীনে এই ট্রেনটি ত্রিপুর (Tiruppur), এরোদ (Erode), সালেম (Salem) হয়ে মহারাষ্ট্রের সিরডি (Shirdi) যায়। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে এই ট্রেন চালানো হয়। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি রেলের বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে সরকার।
সরকারি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে রেলের বেসরকারিকরণ হবে না। সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকবে রেল চলাচল। বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটন-শিল্পে ব্যবহৃত হবে বেসরকারি রেল পরিষেবা। এরকম কয়েকটি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। রেলমন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে এরকম এক ডজন রেল চালানোর কথা ভাবছে সরকার। ২০২৭ সালের মধ্যে চলবে এরকম ১৫১টি ট্রেন।
আরও পড়ুন: অরুণাচল প্রদেশে ঘন অরণ্যে ৭ শ্রমিকের খোঁজ মিলল, এখনও নিখোঁজ ১২
কিন্তু নিয়মিত রুটে কোনও বেসরকারি সংস্থা ট্রেন চালাতে পারবে না। মূলত রেলের ‘ভারত গৌরব’ প্রকল্পের অধীনে দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা করতে পারবে বেসরকারি সংস্থা। কোনও রাজ্য সরকারও এমন ট্রেন চালাতে পারবে। তবে সবার ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে রেল শুধু পরিকাঠামো ব্যবহার করতে দেবে। কোনও সংস্থা দু’বছরের জন্য রেলের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে। যে সব পথে রেল ট্রেন চালায় সেখানে বেসরকারি সংস্থার ট্রেন থাকবে না। কোথা থেকে কোথায় ট্রেন যাবে সেটা ঠিক করবে রেল। তবে বরাত পাওয়া সংস্থাই ঠিক করবে পথের কোন কোন স্টেশনে ট্রেনটি থামবে। ভাড়াও ঠিক করতে পারবে নিজেরা। তবে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কি না তার উপরে নজর রাখবে রেল।
+ There are no comments
Add yours