মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) গভীর সমুদ্রবন্দর হামবানটোটার (Hambantota Port) নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের (China) হাতে। এ সংক্রান্ত চুক্তিটি স্বাক্ষর হয় বছর পাঁচেক আগে। কেবল বাণিজ্যিক কাজেই চিন বন্দরটি ব্যবহার করবে এই আশ্বাস দেওয়ার পরেই সম্পাদন হয় চুক্তি।
এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জাহাজ চলাচলের প্রধান কেন্দ্র ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দর। বাণিজ্যিক কারণে তাই দুই মহাদেশের কাছেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ শ্রীলঙ্কার এই বন্দরটি। এই বন্দরেরই নিয়ন্ত্রণ চলে এল চিনের হাতে।
আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি
হামবানটোটা বন্দরের কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। শ্রীলঙ্কাকে এজন্য ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয় ড্রাগনের দেশ। বন্দর গড়তে যৌথভাবে কাজ শুরু করে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও সাইনো হাইড্রো কর্পোরেশন। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে যায় ২০১০ সালে। ঠিক তার পরের বছর নভেম্বরে শুরু হয় বাণিজ্যিক কাজকর্ম। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার। ঋণের আসল ও সুদ বাবদ চিনকে ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার দিতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। ঋণের এই বিপুল বোঝার ভার কমাতে বন্দরটি চিনকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা সরকার। চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৭ সালে।
আরও পড়ুন : আর্থিক সঙ্কটে পড়ে নিজেদের ঋণখেলাপি ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা
বন্দরের উন্নতিকল্পে চায়না মার্চেন্ট পোর্টস হোল্ডিং কোম্পানি বন্দরের ৮৫ শতাংশ স্টেক অধিগ্রহণের বিনিময়ে ১১২ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে রাজি হয়। বন্দরের বাকি স্টেক থাকে শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে। তার পরেও ফি বছর শ্রীলঙ্কা সরকারকে মোটা অঙ্কের টাকা চিনকে দিতে হয় বন্দর গড়তে নেওয়া ঋণের সুদ বাবদ। যার জেরে ক্রমেই ঋণের ফাঁদে ডুবতে থাকতে দ্বীপরাষ্ট্র।
যদিও পোর্টের ওয়েবসাইটে বন্দরে নানা সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে, তা সত্ত্বেও সেখানে অনেক কিছুই মেলে না বলে অভিযোগ। সেই কারণেই প্রধান জাহাজ কোম্পানিগুলি ওই বন্দর এড়িয়ে চলছে বলেও সূত্রের খবর।
+ There are no comments
Add yours