মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম অনুসারে পুজো অর্চনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল প্রদীপ। পুজোর কাজে প্রদীপ জ্বালাতেই হয়। এছাড়া সন্ধেবেলা তুলসীতলা এবং বাড়ির মূল ফটকের সামনে প্রদীপ জ্বালানোর নির্দেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। কালীপুজো ও তার আগে রাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ি সাজানোর প্রথা প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। তবে যে কোনও স্থানে যে কোনও সময় প্রদীপ জ্বালালেই হল না। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রদীপ জ্বালানোর আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, না হলে জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
প্রদীপ ঠিক ভাবে না জ্বালানো হলে পুজো বা প্রার্থনার কোনও শুভ ফল পাওয়া যায় না। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে সন্ধেবেলায় তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত জরুরি। সন্ধেবেলা তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালালে গৃহে অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারে না। এছাড়া যিনি তুলসীতলায় প্রতিদিন প্রদীপ জ্বালান, তাঁর জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হয়। তুলসীর কৃপায় সুখ ও সমৃদ্ধিতে তাঁর জীবন ভরে ওঠে।
অশ্বথ গাছের নীচেও প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। প্রতি অমাবস্যায় অশ্বথ গাছের নীচে একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে আসুন। এর ফলে আপনার প্রয়াত পূর্ব পুরুষের আশীর্বাদ আপনার ওপরে থাকবে। এছাড়া টানা ৪১ দিন ধরে অশ্বথ গাছের নীচে সর্ষের তেলের প্রদীপ জ্বালালে জীবনের সমস্ত ইচ্ছে পূরণ হবে।
জ্যোতিষবিদদের পরামর্শ অনুসারে প্রতি বৃহস্পতিবার কলাগাছের নীচে প্রদীপ জ্বালানো অত্যন্ত শুভ। তবে এই প্রদীপ শুধুমাত্র ঘিয়ের হতে হবে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে আরও মনে করা হয় যে যদি কোনও ব্যক্তি কঠিন অসুখে ভোগেন, তাহলে তাঁর পরা কোনও পোশাক থেকে কয়েক টুকরো কেটে নিয়ে ঘিয়ের প্রদীপে তা জ্বালিয়ে দিন। এর ফলে কঠিন অসুখের নিরাময় হয় বলে বিশ্বাস করেন অনেকে।
মনে রাখতে হবে যে, প্রদীপের পলতে যেন পূর্ব বা উত্তরমুখী হয়। দক্ষিণ বা পশ্চিমমুখী প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে গৃহস্থের প্রভূত অকল্যাণ হয়, যেমন -- অহেতুক মানসিক চঞ্চলতা, আর্থিক ক্ষতি, স্মৃতিভ্রংশতা, গৃহ কলহ, চাকুরী বা ব্যবসায়ে বাধাপ্রাপ্ততা, হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
প্রদীপ দিয়ে প্রদীপ জ্বালালে ব্যক্তি দরিদ্র ও রোগী হয়। দক্ষিণ দিকে মুখ করে প্রদীপ রাখা উচিত নয়। দেবীর বাম দিকে প্রদীপ রাখা উচিত। প্রদীপ দিয়ে ধূপকাঠি জ্বালালেও তা দারিদ্রের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
+ There are no comments
Add yours