মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোড়ায় গলদ। তাই তাল কাটল শুরুতেই। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি (BJP)-বিরোধী বৈঠকে হাজিরই হলেন না আম আদমি পার্টির (AAP) কেউ। আসেননি টিআরএসের (TRS) কেউও। গরহাজির ছিল শিরোমণি অকালি দলও (SAD)। বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র তরফেও কেউ উপস্থিত হননি বৈঠকে। তার পরেও অবশ্য বৈঠক হয়েছে। তবে হয়েছে বিতর্কও। শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। তখনই হয় অশান্তি। বিরোধী দলগুলি সাফ জানিয়ে দেয়, বৈঠক হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls) নিয়ে। সেখানে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব কেন?
আরও পড়ুন : হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের এককাট্টা করতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বুধবার বৈঠক ডাকেন মমতা। চিঠি দেওয়া হয়েছিল ২২ জন বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীকে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া (Sonia) গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। প্রথমে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার আশ্বাস দিলেও, শেষ মুহূর্তে কেজরিওয়াল হাজির হননি বৈঠকে। কংগ্রেস থাকায় বৈঠকে গরহাজির ছিল টিআরএস এবং শিরোমণি দলও। আসেনি বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র কেউও।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা। তবে সে চেষ্টা যে বিষম কঠিন, এদিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৈঠকের একেবারে শেষ মুহূর্তে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাতে উদ্যোগী হন মমতা। তবে তাঁর সে চেষ্টাও বৃথা যায়। কারণ উপস্থিত নেতারা জানিয়ে দেন, বৈঠকের মূল বিষয় যেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সেখানে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের
এদিকে, বিরোধী শিবিরে রাষ্ট্রপতি পদে তিনজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তিনি নেই। তাঁকে এখনও রাজি করানোর চেষ্টা চলছে বলছে সূত্রের খবর। তিনি নিতান্তই রাজি না হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী (Gopal Krishna Gandhi) ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) নাম বিবেচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
+ There are no comments
Add yours