মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মথুরার (mathura) কৃষ্ণ জন্মভূমি-শাহি ইদগাহ বিবাদ (Krishna Janmabhoomi-Shahi Idgah mosque controversy) মামলায় মসজিদ চত্বরে স্থিতাবস্থা (status quo) চেয়ে আবেদন জমা পড়ল সিভিল জজের (সিনিয়র ডিভিশন) আদালতে। শুক্রবার তিনটি আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এরই একটিতে মসজিদ (mosque) প্রাঙ্গনে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। ওই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah mosque)। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Krishna Janmabhoomi)। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে দায়ের হয় মামলা। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মথুরার একটি দেওয়ানি আদালত এই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে।
আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর মথুরা জেলা আদালত ফের মামলাটি গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী নামে একজন দাবি করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রভুর জন্মস্থান। দেওয়ানি আপিলে তিনি এবং আরও কয়েকজন দাবি করেন, শ্রীকৃষ্ণের উপাসক হওয়ায় তাঁদের ধর্মপালনের অধিকার রয়েছে। ভগবানের প্রকৃত জন্মস্থান দর্শন ও পুজো করার অধিকার তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবি, এখন যেখানে মসজিদ রয়েছে, তার ঠিক নীচেই রয়েছে কৃষ্ণের জন্মভূমি।
আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?
বিচারক জ্যোতি সিংয়ের এজলাসে আবেদনপত্রগুলি জমা দেওয়া হয়। আবেদন করেন দেবতা শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান এবং লখনউ নিবাসী মণীশ যাদব। এই মণীশই নিজেকে শ্রীকৃষ্ণের বংশধর বলে দাবি করেন। ২০২০ সালে মসজিদ স্থানান্তরিত করার দাবিও তুলেছিলেন ইনিই।
আবেদনকারীদের দাবি, কাটরা কেশব দেবের ১৩.৩৭ একর জমির একটি অংশে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। এর আগে মসজিদে জরিপের আবেদন নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন আবেদনকারীরা। গ্রীষ্মাবকাশের পর আদালত খুললে ১ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর।
জেলা সরকারি কাউন্সেল (সিভিল) সঞ্জাই গৌর বলেন, তিনটি নতুন আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে, দুজন সহকারী অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগ করতে হবে এবং অ্যাডভোকেট কমিশনার যখন মসজিদ পরিদর্শন করবেন, তখন ঘটনাস্থলে জেলাস্তরের আধিকারিকদের থাকতে হবে।
স্থিতাবস্থা চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে আবেদনকারীরা দাবি করেছেন যে হিন্দুদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মসজিদের ভিতরে চাপা দেওয়া হয়েছে। আবেদনকারীদের আশঙ্কা, এই প্রমাণগুলি বিকৃত করা হতে পারে। তাই স্থিতাবস্থার নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন।
+ There are no comments
Add yours