মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বীরভূমে জোড়া বিস্ফোরণে এনআইএ (NIA) তদন্তের নির্দেশ আদালতের। বিস্ফোরণ সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে দিতে সিআইডিকে (West Bengal CID) নির্দেশও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ঘটনায় ফের একবার মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের (Mamata Government)।
সিবিআই থেকে ইডি বা এনআইএ - রাজ্যে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার তদন্তের দায়ভার পড়ছে কেন্দ্রীয় এই সব এজেন্সির হাতে। বছর তিনেক আগে এক মাসের ব্যবধানে বীরভূমে ঘটে যাওয়া জোড়া বিস্ফোরণের তদন্তভার এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তাল এনআইএ-র ওপর।
বিস্ফোরণের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের ২৯ অগাস্ট, বীরভূমের সদাইপুরের রেঙ্গুনি গ্রামে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে উড়ে যায় জনৈক হাইতুন্নেশা খাতুনের গোয়ালঘরের চাল। এই ঘটনার জেরে বাতাসে লেগে থাকা বারুদের গন্ধ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই বিস্ফোরণের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে। এবার ঘটনাস্থল বীরভূমের লোকপুরের গাংপুর। ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু মণ্ডলের বাড়ির টিনের চাল উড়ে যায়। পুলিশের হাত ঘুরে দুই বিস্ফোরণের তদন্তভার যায় সিআইডির(CID) হাতে। আদালতের নির্দেশে পরে যে দায়িত্ব বর্তায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে।
তদন্তভার পাওয়ার পরেও তদন্তের কাজ বিশেষ না এগনোয় রাজ্যকেই দুষতে থাকে এনআইএ। দ্বারস্থ হয় বিশেষ আদালতের। এরপর নথি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় বিশেষ আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলায়ই এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের মন্তব্য, আইন অনুযায়ী এই ধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা, এনআইএ-কে একটা প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠায়। সেই রিপোর্ট বিবেচনা করে তদন্ত করা বা না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এই দুই ঘটনার ক্ষেত্রে সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। যেহেতু রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার চেয়ে এনআইএ-র বিস্তৃতি আরও বেশি, সেজন্য ন্যায়-বিচারের স্বার্থে দুই মামলার তদন্তভার দেওয়া হল এনআইএ-কে।
+ There are no comments
Add yours