Assam floods: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম, ২০টি জেলার ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

জেলার প্রতিটি রেলস্টেশনের চেহারা বদলে গিয়েছে। হাফলঙ স্টেশনে হাঁটুসমান কাদা। এই পরিস্থিতিতে ২৫ জোড়া ট্রেন বাতিল করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।
Flood61
Flood61

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বর্ষণে আসামে (Assam)বন্যা (Flood)পরিস্থিতি ভয়ংকর আকার নিয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি (Heavy Rain) চলছে। আসামে ৬ মে থেকে ৫৪৫.৬৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জাতীয়সড়ক এবং পাঁচটি রাজ্যসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত। বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ নেই। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামের পর গ্রাম। আসামের ২০টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত লাখ দুয়েক বাসিন্দা। প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে (Relief Camps) আশ্রয় নিয়েছেন। প্রতিটি এলাকা এক-একটা দ্বীপের চেহারা নিয়েছে। জেলাসদর হাফলঙের সঙ্গে মাইবাঙের যোগাযোগ নেই। কারণ ধসের পর ধস নেমেছে আসামের ওই পাহাড়ি জেলায়। এমনকি শহরতলি জাটিঙ্গায়ও যাওয়া-আসা বন্ধ। বহু জায়গায় রেল ট্র্যাক মাটির তলায়,সড়কের ওপর দিয়ে বইছে জলস্রোত।

জেলার প্রতিটি রেলস্টেশনের চেহারা বদলে গিয়েছে। হাফলঙ স্টেশনে হাঁটুসমান কাদা। একটি ফাঁকা ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে। পাহাড় ভেঙে জল-কাদা গড়িয়ে যাওয়ার সময় এর পাঁচ-ছয়টি কামরাকে সরিয়ে দিয়েছে। সেগুলি কাত হয়ে দূরে পড়ে আছে। সেখানে অনেকটা জায়গা জুড়ে ট্র্যাক নিশ্চিহ্ন। আরও বহু জায়গায় ট্র্যাকের নীচে থেকে মাটি সরে গিয়েছে। দাওতুহাজা ও ফাইডিংয়ের মধ্যবর্তী তিনশো মিটার এলাকা রেললাইন ঝুলন্ত সেতুর চেহারা নিয়েছে। নিউ হাফলঙে টানা বর্ষণের রেললাইনে ধসের জেরে ট্রেনের মধ্যেই আটকে পড়েছিলেন প্রায় ২৮০০ যাত্রী। কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বায়ুসেনার কপ্টারে করে অধিকাংশ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দিমা হাসাও জেলায় লুমডিং শাখায় দুটি ট্রেন আটকে পড়েছিল। ওই দুটি ট্রেনের মধ্যে ছিলেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। বন্যা পরিস্থিতি ও ধসের জেরে প্রাণ হাতে নিয়ে কার্যত আতঙ্কের প্রহর গুনছিলেন তাঁরা। শেষমেশ তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।

[tw]

[/tw]

 এই পরিস্থিতিতে ২৫ জোড়া ট্রেন বাতিল করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। আসামের Dima Hasao এলাকায় ভূমিধসের কারণে ত্রিপুরা, মিজোরাম ও দক্ষিণ অসমের এলাকায় চলাচলকারী ওই ট্রেনগুলিকে বাতিল করেছে Northeast Frontier Railway। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে রেললাইন মেরামতির কাজ। যে সমস্ত ট্রেন বাতিল ও আংশিক বাতিল করা হয়েছে সেগুলির মধ্যে আছে Agartala–Anand Vihar Tejas Rajdhani এক্সপ্রেস, Bangalore Cant –Agartala এক্সপ্রেস, Agartala – Secunderabad এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-আগরতলা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। 

[tw]

damaged because of the heavy-rain induced flash flood and landslide.#AssamFloods #AssamFloodUpdates #AssamNews #haflongflood @RailNf @RailMinIndia pic.twitter.com/PatgR9U0eC— Farhan Ahmed (@farhan_assam) May 16, 2022 [/tw]

আসামের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (Assam Disaster Management Department) তরফে জানানো হয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত  হয়েছে কাছাড় (Kachar) এলাকা। ওই জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। কাছাড়ের সাড়ে ছ'শোরও বেশি গ্রাম বন্যার কবলে। বাড়ছে বন্যার জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা। করিমগঞ্জ জেলায়ও নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।  বন্যা পরিস্থিতিতে অসমে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কয়েকজন নিখোঁজ বলেও জানা গিয়েছে। প্রায় ৬৬ হাজার ৬৭১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১৬ হাজার হেক্টর জমি জলে ডুবে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। জলের তোড়ে তমালপুর জেলায় বোরোলিয়া নদীতে ভেসে গিয়েছে বাঁশের সেতু। অসমের জোরহাট (Jorhat), নওগাঁ (Naugaon ) জেলার পরিস্থিতিও অত্যন্ত উদ্বেগের। নগাঁও জেলায় কপিলি নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। ব্রহ্মপুত্রের জলও বিপদসীমার উপরে। এর মধ্যে জেলা জুড়ে বিদ্যুৎ নেই। বিঘ্নিত হচ্ছে জল সরবরাহ। মিলছে না ইন্টারনেট পরিষেবাও।

আরও পড়ুন : সময়ের আগেই বর্ষা ঢুকল আন্দামানে, রাজ্যেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles