COVID-19: দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা আক্রান্ত, ৪৫ বার পজিটিভ, পারসিসটেন্স কোভিডে নয়া তথ্য

Persistance Covid: পারসিসটেন্স কোভিড মানে, ভাইরাস দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরেই বাসা বেঁধে থাকে। মিউটেশনও হয়। 
percov
percov

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ৫০৫ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন লন্ডনের এক ব্যক্তি। ৪৫ বার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অবশেষে মারণ ব্যাধির কাছে জীবন যুদ্ধে হার মানতে হলেও কোভিড নিয়ে গবেষণার নতুন দিক খুলে দিয়েছেন ওই ব্যাক্তি। তবে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ইনিই একমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগী কি না, তা এখনও জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। 

'দ্য গাইস অ্যান্ড সেন্ট থমাস এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট'-এর ভাইরাল রোগ বিশেষজ্ঞ ড. লুক ব্ল্যাগডন স্নেল জানান, রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে ইনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি ৫০৫ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। অনেকেই বারবার একটানা করোনা পরীক্ষা করান না। ফলে রিপোর্টে সেভাবে ধরা পড়ে না। এখনও পর্যন্ত "লং কোভিড" সম্পর্কে অনেকেই অবগত। কিন্তু এই ধরনের রোগীরা পারসিসটেন্স কোভিড নিয়ে গবেষণায় নতুন তথ্য জোগাবেন বলে অভিমত চিকিৎসকদের। 

লং কোভিড মানে, করোনামুক্ত হওয়ার পরেও রোগের উপসর্গ দীর্ঘদিন পর্যন্ত থেকে যায় শরীরে। অন্যদিকে পারসিসটেন্স কোভিডের অর্থ হল, ভাইরাস দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরেই বাসা বেঁধে থাকে। মিউটেশনও হয়। বিশেষত অত্যন্ত কম ইমিউনিটি যাঁদের,তাঁদের পারসিসটেন্স কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যাঁদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে, এইচআইভি, ক্যানসার, এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। 

টানা আট সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত এমন ৯ জন রোগীর সন্ধান পেয়েছিলেন স্নেল এবং তাঁর দল। তাঁদের মধ্যে দু'জন এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনা আক্রান্ত। এর মধ্যে পাঁচজন এখনও বেঁচে আছেন। চারজন মারা গেছেন। যে পাঁচজন বেঁচে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন এখন করোনা নেগেটিভ। তবে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আর একজন এখনও পজিটিভ। যিনি ৪১২ দিন ধরে করোনা আক্রান্ত।   

স্নেল জানান, টানা ৫০৫ দিন ধরে আক্রান্ত থাকা লন্ডনের ওই ব্যাক্তি ২০২০ সালে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, সমস্ত অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ দেওয়ার পরেও ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় তাঁর মৃত্যু হয়। বারবার পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ওই ব্যক্তির সংক্রমণ গড়ে ৭৩ দিন ধরে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। তাঁর শরীরে করোনার প্রায় ১০ বার মিউটেশন ঘটে। তিনি আলফা, গামা, ওমিক্রন সবরকম ভ্যরিয়েন্টেই আক্রান্ত ছিলেন।

গবেষকরা জানান, এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক রোগী টানা ৩৩৫ ধরে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের এমন স্থায়িত্ব বিরল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ বিরল হলেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ধরনের রোগীরা হয়তো করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতিকে জন্ম দিতে পারে। 

করোনার ঝুঁকি নিয়ে জানা-অজানা তথ্যের পরিধি বাড়াতে এধরনের দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণের ওপর গবেষণা দরকার বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কিংস কলেজ লন্ডন এবং গাই’স অ্যান্ড সেন্ট থমাস’ এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের  বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই পারসিসটেন্স কোভিডের চিকিৎসাও শুরু হবে।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles