মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁয়েছে। কোথাও হড়পা বান, কোথাও প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধস, প্রকৃতির এই প্রলয়ে হিমাচলের (Himachal Pradesh) জীবন সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের সিমলা-কালকা রেলপথের একাংশ ভেসে যেতে দেখা গিয়েছে জলের তোড়ে। পাশের রাজ্য উত্তরাখণ্ডেরও অনেকটাই একই অবস্থা। প্রবল ভূমিধসের কারণে সেখানে আপাতত স্থগিত রয়েছে চারধাম যাত্রা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, হিমাচলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ।
রবিবার রাতেই সোলান জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ১১ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সিমলা শহরের একটি শিব মন্দির ধসে পড়েছে অতি বৃষ্টির কারণে। মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ ছাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ মনে করা হচ্ছে যে কংক্রিটের নিচে এখনও চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকজন। এর পাশাপাশি হিমাচল (Himachal Pradesh) এর মান্ডি জেলায় সম্বল গ্রামে হড়পা বানে সোমবার ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
কী বলছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী?
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, দুর্যোগের মোকাবিলায় সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিগত কয়েকদিন ধরে হিমাচলে (Himachal Pradesh) একনাগাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে সমস্ত নদীর। খরস্রোতা বিপাশা নদীর জল বিপদ সীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিদিনই নামছে ধস। যার জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সড়ক। জানা গিয়েছে হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড মিলিয়ে প্রায় ৭০০ রাস্তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। চলছে মেরামতির কাজ। তবে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের থেকে রেহাই এখনই মিলবে না বলে জানা যাচ্ছে।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃত ১১
রবিবার রাতে সোলান জেলার একটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রচণ্ড গর্জন শুনতে পান। কিছু বুঝে ওঠার আগে এই মেঘভাঙা বৃষ্টির প্রবল জলস্রোত আছড়ে পড়ে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় বেশ কিছু বাড়িঘর। মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। তার মধ্যে জানা গিয়েছে একটি পরিবারের সাত সদস্যই মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মারা গিয়েছেন।
টানা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ড
অন্যদিকে একটানা ভারী বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত উত্তরাখণ্ডও। সেখানকার একাধিক জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। বেশ কয়েকটি জাতীয় সড়কের যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত ভারী বৃষ্টির জেরে চলছে ভূমিধস। এখনও পর্যন্ত বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১৭ জন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ১,১৭৯ টি বাড়ি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours