মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যপালের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) নন্দনায়কবাড়ে ৭৭ নম্বর বুথে ভোট দিলেন তিনি। ভোট দিয়ে রাজ্য সরকারের পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, বিরোধীদের মারধরের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও মারধর করল পুলিশ। কোর্টের নির্দেশ মানেনি এই নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এই রাজ্যে ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি জানান তিনি।
রাজ্য জুড়ে ভোটের দিন সন্ত্রাস চলেছে
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ভোটে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে তৃণমূল। এই ভোটের দিনেই রাজ্যে প্রাণ গেছে বেশ কয়েক জনের। গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হয়েছে সর্বত্র। তিনি যখন নন্দনায়ক বাড়ে ভোট দেন, সেই সময় তৃণমূলের কর্মীরা গন্ডগোল করে বলে বিশেষ অভিযোগ ওঠে।
কেমন চিত্র ছিল নন্দীগ্রামে (Purba Medinipur)
ভোটের দিন সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের (Purba Medinipur) তারাচাঁদবাড় গ্রামে ৬৭ ও ৬৮ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোটাররা ভোট বয়কট করেন। ওই ভোট কেন্দ্রের ভোটার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের সহ সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান। ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে গেলে ভোটাররা তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান এবং ভোট যাতে দিতে না পারেন, তাই বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। পরে ঘটনাস্থলে আসে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকার সাধারণ ভোটাররা পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের পা ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করতে দেখা যায় সাধারণ ভোটারদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে কীটনাশক খেয়ে তাঁরা আত্মহত্যা করার কথাও জানান। পরে পুলিশের আশ্বাসে বুথে বাহিনী মোতায়েন হয় প্রায় আড়াই ঘন্টা পর। আর এর পরেই ভোট শুরু হয় সেখানে। নন্দীগ্রামের পাশাপাশি ময়নাতেও বেশ কিছু জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে । স্থানীয় ভোট কর্মীদের অভিযোগ, মুখে কালো কাপড় বেঁধে বাহিনীর বেশে এসে বন্দুক ঠেকিয়ে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours