মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম দিনই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল মহারাষ্ট্র। রবিবার সকালে নাসিকের (Nasik Fire) ইগতপুরী জেলার মুন্ডেগ্রামের জিন্দাল গোষ্ঠীর একটি কারখানায় আগুন লেগে যায়৷ এদিন হঠাতই কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন কারখানার কয়েকজন কর্মী৷ তারপর তাঁরাই দমকলে খবর দেন৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল কর্মীরা৷ আগুনের উৎস সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ২ জন শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে একজন মহিলা শ্রমিক। ৭০ শতাংশ পুড়ে যান তিনি। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১৭ জন শ্রমিক। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।
কী ঘটেছে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকাল ১১:৩০ মিনিট নাগাদ হঠাতই কারখানার ভিতর থেকে আগুন বেরোতে দেখা যায়৷ আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়৷ সেই সময়ে কারখানার ভিতরে প্রায় ২৫০ জন কর্মী উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁদের অধিকাংশই নিরাপদে কারখানার বাইরে বেরোতে সক্ষম হন৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওযার আগেই দমকল কর্মীরা দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে৷ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় কালেক্টর গঙ্গাথরণ ডি ও এস পি (রুরাল) সচিন পাতিল ৷ ইগতপুরী এবং নাসিক (Nasik Fire) থেকে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে৷
আরও পড়ুন: ২০২৩- এর বিশ্বকাপ দলের ২০ জনের নাম ঘোষণা বিসিসিআই- এর, আইপিএল নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত
উদ্ধারকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কারখানায় বিপুল পরিমাণে দাহ্য পদার্থ রয়েছে। এছাড়া কারখানা চত্বরে বড় শুকনো ঘাস থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের (Nasik Fire) মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এক বিবৃতিতে বলেন, "১১ জন গুরুতর আহতকে নাসিকের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কারখানাটিতে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে কাজ হত। ফলে ভেতরে লোক কম ছিল সেই সময়। উদ্ধারকাজে গতি আনার জন্য সরকারের তরফে যাবতীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।" মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "আমাদের কর্মকর্তা, জেলা কালেক্টর, পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে রয়েছেন। যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।" হাসপাতালে আহতদের দেখতেও যান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে ৫ লক্ষ টাকা করে সরকারি সাহায্য দেওয়া হয়েছে মৃত শ্রমিকের পরিবারকে।
+ There are no comments
Add yours