Indonesia: ইন্দোনেশিয়ায় ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত, ১১ জন পর্বতারোহী মৃত, আরও ১২ নিখোঁজ

ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত ইন্দোনেশিয়াতে....
Untitled_design(363)
Untitled_design(363)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) জাভাতে ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাত। আর তাতেই মৃত্যু হল ১১ জন পর্বতারোহীর। সোমবার ভোররাতের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি ১২ জন পর্বতারোহীর। ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসন এবং উদ্ধারকারী দল আশঙ্কা করছে যে ওই ১২ জন যাঁদের সন্ধান মেলেনি, তাঁরাও খুব সম্ভবত মারা গিয়েছেন।

৭৫ জন পর্বতারোহীর দল গিয়েছিলেন মাউন্ট মেরাপিতে 

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ভয়াবহ ভূমিকম্পতে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। রবিবারই মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। জানা গিয়েছে, আগ্নেয়গিরির লাভা প্রায় তিন কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় প্রশাসনের তরফে আগ্নেয়গিরির আশেপাশে থাকা মানুষজনদেরকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। একই সঙ্গে উদ্ধার কাজ চলতে থাকে পর্বতারোহীদেরও। এরই মধ্যে খবর আসে ১১ জনের মৃত্যুর। ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) উদ্ধারকারী দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবারই ৭৫ জন পর্বতারোহীর দল মাউন্ট মেরাপিতে গিয়েছিলেন। তিন ডিসেম্বর থেকেই আগ্নেয়গিরিতে লাভা বের হতে থাকে। প্রায় তিন হাজার মিটার উচ্চতা পর্যন্ত আকাশে ছড়িয়ে পড়ে আগ্নেয়গিরির ছাইভস্ম। আশেপাশের গ্রামে গিয়েও পড়ে এই ছাই। এর ফলেই আটকে যায় পর্বতারোহীর দলটি।

১৩০টি আগ্নেয়গিরির দেশ ইন্দোনেশিয়া

জানা গিয়েছে উদ্ধার কাজ শুরু হওয়া মাত্রই ৫৪ জনকে সেখান থেকে সরাতে সমর্থ হয় উদ্ধারকারী দল। কিন্তু আগ্নেয়গিরির কাছ থেকে ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও তিনজনকে সেখান থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে। উদ্ধারকারী দলের তরফে আরও জানানো হয়েছে যাদেরকে উদ্ধার করা গিয়েছে তাদের শরীরের ৫০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। জখমদের মধ্যেও বেশ কয়েকজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়াকে (Indonesia) দেশকে রিং অফ ফায়ারের অন্যতম দেশ বলা হয়। ১৩০টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে এখানে। ১৫৪৮ সাল থেকেই এখানে নিয়মিত অগ্নুৎপাত হয়ে আসছে বলে জানা যায়। ১৯৬৯ সালে মাউন্ট মেরাপিতে এক ভয়ঙ্কর অগ্নুৎপাতে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles